![]() |
হাসান
বিন মুমিন।। মিজান আজহারী সহ যেসকল বাতিল ফির্কা এখানো আহলে বাইত শরীফের বিরোধিতা করে
তিরমিযী শরীফের ঐ হাদীছ সামনে নিয়ে ভাবছে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস
সালাম মদ পান করেছিলেন। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক। তাদের জবাব খোদ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল
আলামীন কুরআন শরীফেই দিয়ে দিয়েছেন।
মহান
আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেনঃ [يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ] হে মুমিনগন, তোমরা
যারা ঈমান এনেছো (তোমরা জেনে রাখো),
মদ,
জুয়া,
পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণয়কারী শর হচ্ছে ঘৃণিত শয়তানের কাজ, এতএব
তোমরা তা (সম্পূর্ণরূপে) বর্জন করো,
আশা করা যায় তোমরা মুক্তি পেয়ে যাবে। [সূরাহ মায়িদা শরীফঃ ৫/৯০]
আয়াত
শরীফখানা দেখেন, মদ
পানকে আল্লাহ পাক رِجْسٌ বা ঘৃণিত শয়তানের কাজ বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
পক্ষান্তরে
আহলে বাইত শরীফ বা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিবার
সম্পর্কে আল্লাহ পাক ঘোষনা দেনঃ [إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا] হে (সম্মানিত আহলে বাইত) নবী পরিবারের সদস্যবর্গ।
মহান আল্লাহ পাক চান আপনাদের থেকে অপবিত্রতা দূরে রেখে আপনাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র
রাখতে। [সূরা আহযাব শরীফ ৩৩/৩৩ শেষাংশ]
অর্থাৎ
সম্মানিত আহলে বাইত যারা উনাদের খোদ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।
আর আয়াত শরীফে [لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ] দিয়ে সকল অপবিত্রতা থেকে আহলে বাইত শরীফগন
মুক্ত বরং উনারা পূত পবিত্র সে ঘোষনাই আল্লাহ পাক দিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে
সূরাহ মা’য়িদা
শরীফের ৯০ নং আয়াত শরীফে আমরা জানতে পারলাম মদ হচ্ছে অপবিত্র জিনিস যাকে ঘৃণিত শয়তানের
কাজ বলা হয়েছে। আর সূরা আহযাব ৩৩ নং আয়াত থেকে জানতে পারলাম সম্মানিত আহলে বাইত শরীফগন
পবিত্র। সকল অপবিত্রতা থেকে আল্লাহ পাক উনাদের হেফাজত রেখেছেন।
তাহলে
আপনারাই বলুন আহলে বাইত শরীফের সদস্য খলীফাতু মুসলিমিন মাওলা হযরত আলী
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম কি করে ঘৃণিত শয়তানের কাজ করতে অপবিত্র মদ স্পর্শ
করতে পারেন? এধরনের
আক্বীদাতো পবিত্র কুরআন শরীফের হুকুমের বিপরীত যা স্পষ্ট ঈমানহানীর কারন। যাদের
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র রেখেছেন তাদের অপবিত্র কাজের অপবাদ দিলে ঈমান থাকবে কি?
আর হযরত
আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি মহা সম্মানিত আহলে বাইত উনাদের
অন্তর্ভুক্তঃ [حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم غَدَاةً وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعْرٍ أَسْوَدَ فَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ جَاءَ الْحُسَيْنُ فَدَخَلَ مَعَهُ ثُمَّ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَدْخَلَهَا ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ قَالَ { إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا}]
অর্থঃ
হযরত উম্মুল মু’মিনিন
আয়িশাহ্ সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সকালে বের হলেন। উনার পরনে ছিল কালো নকশী দ্বারা
আবৃত একটি পশমী চাদর। হযরত হাসান ইবনে আলী আলাইহিস সালাম এলেন, তিনি
উনাকে চাদরের ভেতর প্রবেশ করিয়ে নিলেন। হযরত হুসাঈন ইবনে আলী আলাইহিস সালাম এলেন, তিনিও
চাদরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম এলেন, উনাকেও
ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর হযরত আলী আলাইহিস সালাম এলেন উনাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন।
তারপরে বললেন, হে
আমার আহলে বাইত! আল্লাহ পাক চান আপনাদের থেকে অপবিত্রতা দূরে রেখে আপনাদেরকে পূর্ণরূপে
পূত-পবিত্র রাখতে। [সহিহ মুসলিম শরীফঃ হাদীস শরীফ নং ৬১৫৫]
এবার যেকোন
সাধারণ জ্ঞান রাখনে ওয়ালা কুরআন সুন্নাহর সামান্য জ্ঞান রাখনে ওয়ালার মাথায় এই
প্রশ্নের উদয় হবেই, যে কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ ও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস
শরীফের ব্যপারে যার ধারণা নাই, যে এগুলির মর্মার্থ বুঝতে ব্যর্থ সে কিভাবে একজন
আলিম হতে পারে, তাও আল আজহার এর মতো বিদ্যাপীটের ছাত্র হয়ে? প্রশ্ন থেকেই যায়।
মহান আল্লাহ
পাক বিতাড়িত ইবলিশ ও তার ক্বায়ীম মাক্বামে থাকা মিজানুর রহমান আজহারী লানতুল্লাহির
থেকে আমাদের মুসলিম উম্মাহ কে হেফাজত করুন আমিন।
0 facebook: