![]() |
আন্তর্জাতিক
ডেস্ক।। ভারতের লোকসভায় বিরোধী দলগুলোর তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত মুসলিমবিরোধী
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস করিয়ে নিয়েছে বিজেপি সরকার। সোমবার রাতে পাস হওয়া বিলটির
প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশটির আসাম রাজ্যে। এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে পারে উত্তরপূর্বের
অন্যান্য রাজ্যেও।
বিলটির
প্রতিবাদে ১১ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন (এনইএসও)।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই আসামের ডিব্রুগড়, জোড়হাট ও বঙ্গাইগাঁওয়ে রাস্তায় নেমেছে
হাজার হাজার মানুষ। অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত এড়াতে ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক্লাস ও পরীক্ষা।
ধর্মঘটের
কারণে গুয়াহাটির বহু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় সাধারণ মানুষদের চলাচল
নেই বললেই চলে। রাজ্যের লখিমপুর ও সোনিতপুর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। চালু
করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন। এদিকে এনইএসওর ডাকা ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআইসহ
একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন।
এর আগে
সোমবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিতর্কিত এই বিলটি লোকসভায় পেশ
করে। পরে ৯০ মিনিট ধরে চলা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর ২৯৩-৮২ ভোটের ব্যবধানে তা পাস
হয়।
বিবিসির
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনে
পরিণত করতে হলে বিলটিকে এখন সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা থেকেও পাশ করিয়ে নিতে হবে। তারপরই
বাংলাদেশ, পাকিস্তান
ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমানো অমুসলিম শরণার্থীদের দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ
হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৫
সালে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব আইনে উল্লেখ আছে, অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা কেউ যদি নাগরিকত্ব
চায় সেক্ষেত্রে তাকে কমপক্ষে ১১ বছর এ দেশে বসবাস করতে হবে। পাশাপাশি এর পক্ষে যথেষ্ট
প্রমাণ ও নথিপত্র উপস্থাপন করতে হবে।
কিন্তু
নতুন করে সংশোধন হওয়া এ বিলটিতে বলা হয়েছে, ভারতে টানা ৫ বছর ধরে বসবাস করা অমুসলিমরা
নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অবেদন করতে পারবেন।
এদিকে
বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছে, যদি
সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়, তাহলে সেটা মেনে নেয়া যায়। কিন্তু যদি ধর্মের
ভিত্তিতে বৈষম্য করা হয়,
তাহলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হবে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: