Saturday, December 21, 2019

কেবল জামায়াতে ইসলামপন্থী নয়, চীনা বামপন্থী হিন্দুরাও রাজাকার ছিলঃ কমরেড মাহমুদ


কমরেড মাহমুদ।। স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় জামায়াতের যে ৩৭ জন আছেন তারা স্বাধীনতাবিরোধীই। জামায়াতসহ ইসলামপন্থী সব গোষ্ঠীই ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী। কারন তারা ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন।

বামদের মধ্যে যারা চীনপন্থী তারাও পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। বরিশালের বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা. মনীষার বাবা ও দাদীর নাম তালিকায় আছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালের বাসদ নেত্রী ডা. মনীষার বাবা তপন কুমার চক্রবর্তী ও তার পরিবার ছিল চীনা বামপন্থী। তপন কুমার, তার বাবা সুধীর কুমার এবং তার মা উষা রাণী সবাই ন্যাপের সাথে জড়িত ছিলেন। একাত্তরে তারা শুধু পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন না, এই পরিবার সশস্ত্র ভূমিকা রেখেছেন। এক পর্যায়ে রুশপন্থী বামেরা সুধীর কুমারকে হত্যা করে। এটা সবাই জানে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ চলাকালীন বামেদের রুশপন্থী ছিল বাংলাদেশের পক্ষে আর চীনপন্থীরা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে।

বাহাত্তরের জানুয়ারিতে উষা রাণীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা মামলা করেন এবং জুনে তপন কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে সকল বামদের মতন এই বাম পরিবারটিও তাদের পরিচয় ঘুরিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত সুধির কুমারকে বানিয়ে দেয় পাকিস্তানিদের হাতে নিহত হিন্দু শাখার শহীদ। এভাবে এই রাজাকার পরিবার এখন মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেটে রাজাকারের তালিকায় যাদের নাম উল্লেখ করেছে তাদের প্রত্যেকের জন্য নথিসূত্রও উল্লেখ রয়েছে। তপন ও উষা রাণীর ব্যাপারেও সব কাগজপত্র আছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক এলাকার পিস কমিটির চেয়ারম্যান যুদ্ধের পরেও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন। অথচ তিনিই মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট বিতরণ করেছেন। এলাকার চেয়ারম্যান হিসাবে এটাই তার দায়িত্ব ছিল।

যে ক'জন জামায়াত নেতার নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে তারা সবাই স্ট্রংলি স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। এর মধ্যে একজনের কাছে ওসমানী স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট আছে। তাতে কী? এমন ভুয়া সার্টিফিকেট হাজারে হাজারে আছে।

সরকার কর্তৃক প্রকাশিত তালিকা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আরিফ টিপু, তপন কুমার সবাই স্ট্রংলি রাজাকার ছিলেন। এই লিস্ট সংশোধন করলে, রাজাকারের তালিকা অপূর্ণ থেকে যাবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: