![]() |
ধর্মীয়
ডেস্ক।। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ [حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي
حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا
قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا
مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن
تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن
بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا] ‘তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে (বিবাহের জন্য)
তোমাদের মাতাদের, মেয়েদের, বোনদের, ফুফুদের, খালাদের, ভাতিজিদের, ভাগ্নিদের, তোমাদের
সেই সব মাতাকে যাঁরা তোমাদের দুধ পান করিয়েছেন, তোমাদের দুধবোনদের, তোমাদের
শাশুড়িদের, তোমরা
যেসব স্ত্রীর সঙ্গে (দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে) মিলিত হয়েছ সেই সব স্ত্রীর অন্য স্বামী
থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদের, আর যদি তোমরা তাদের সঙ্গে মিলিত না হয়ে থাকো, তবে তোমাদের
ওপর কোনো পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদের এবং দুই বোনকে একত্র (বিবাহ)
করা (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয়ই মহান
আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমাশীল,
পরম দয়ালু। আর (হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে অন্যের বিবাহিতদের।
তবে তোমাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে (দাসী) তাদের ব্যতীত। এটি তোমাদের ওপর মহান
আল্লাহ পাক উনার বিধান এবং এরা ছাড়া সব নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তোমরা
তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য, জিনা ব্যভিচারের
জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা উপভোগ করবে, তাকে
তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে
সম্মত হও। নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।’ (সুরাহ
নিসা শরীফ, আয়াত
শরীফ ২৩-২৪)
যেসব
নারীকে বিয়ে করা হারাম
নিম্নে
বর্ণিত ১৩ প্রকার নারীকে বিয়ে করা হারামঃ
১. আপন মা, বাবা ও দাদা-নানার স্ত্রীরা এবং তাদের কামভাব
নিয়ে স্পর্শকৃত নারী। এরূপ ঊর্ধ্বতন সব দাদা-নানার স্ত্রীরা।
২. মেয়ে এবং ছেলে ও মেয়ের ঘরের সব নাতনি।
৩. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ফুফু।
৪. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় খালা।
৫. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় বোন ও তাদের সন্তানাদি।
৬. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ভ্রাতৃকন্যা ও তাদের
সন্তানাদি।
৭. দুধমাতা, তার মাতা, দাদি, নানি-পিতা, দাদা, নানা, মেয়ে, মেয়ের মেয়ে,
ছেলে, ছেলের ছেলে এমনিভাবে ওপর নিচের সব নারী।
৮. স্ত্রীর অন্য পক্ষের মেয়ে, যদি স্ত্রীর
সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকে।
৯. পুত্রবধূ, আপন ছেলের হোক বা দুধছেলের হোক।
১০. আপন
শাশুড়ি, দাদীশাশুড়ি, নানীশাশুড়ি
এবং ওপরে যারা রয়েছে।
১১. দুই
বোনকে একত্রে, এমনিভাবে
ফুফু ও তার ভাতৃকন্যা, খালা
ও তার ভাগ্নিকন্যাকে একসঙ্গে বিয়ের মধ্যে রাখা।
১২. উল্লিখিত
রক্ত সম্পর্কের কারণে যারা হারাম হয়েছে, দুধ সম্পর্কের কারণেও তারা সবাই হারাম হয়।
১৩. যে
মেয়ে অপরের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। এ ছাড়া অন্য সব নারীকে বিয়ে করা হালাল। (দেখুনঃ
সুরাহ নিসা শরীফ, আয়াত
শরীফ ২৩-২৪)
স্ত্রীর
বর্তমানে শালিকে বিয়ে করা অবৈধ
কোনো
নারী কারো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকাকালীন তার বোনের সঙ্গে বিয়ে সম্পূর্ণ হারাম। প্রথম
বোনের সঙ্গে তালাক হয়ে গেলে মহিলার ইদ্দত শেষ হওয়ার পর অথবা বোন মারা গেলে তখন তার
বোনের সঙ্গে বিয়ে বৈধ। (দেখুনঃ সুরাহ নিসা শরীফ, আয়াত শরীফ ২৩-২৪) ও (হিন্দিয়াঃ ১/২৭৭)
পরস্পর
লেগে থাকা যমজ দুই বোনের বিয়ের বিধান
জন্মগতভাবে
পরস্পর জড়ানো যমজ দুই বোনের জন্ম হলে দুই বোনকে এক ব্যক্তি একত্রে বিয়ে করতে যেমন পারবে
না, তেমনি
দুই বোনকে দুই ব্যক্তির কাছে বিয়ে দেওয়াও সম্ভব নয়। শুধু এক বোনকে একজন লোকের কাছে
বিয়ে দিলেও পর্দার বিধান রক্ষা করে তাকে নিয়ে সংসার করা সম্ভব হবে না। তাই এ সমস্যার
একমাত্র সমাধান হবে, অপারেশনের
মাধ্যমে দুই বোনকে আলাদা করার চেষ্টা করা, যা বর্তমান যুগে ব্যয়বহুল হলেও সম্ভব। অতঃপর
দুই বোনকে পৃথক দুই ব্যক্তির কাছে বিয়ে দেওয়া। আর পৃথক করা কোনোভাবে সম্ভব না হলে তাদের
চিরকুমারী থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। (বাদায়েউস সানায়েঃ ২/২৬২; ইমদাদুল
ফাতাওয়াঃ ২/২৩৯) তবে এই ধরণের পরিস্তিতির মেয়েদের/ছেলেদের নিয়ে ইখতেলাফ আছে।
চাচাতো
ভাই-বোনের মেয়েকে বিয়ে করা বৈধ
আপন ভাই
বা বোনের মেয়েকে বিয়ে করা হারাম। তবে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাই ও বোনের মেয়ে মুহাররমাতের অন্তর্ভুক্ত
নয়, তাই
তাদের বিয়ে করা জায়েজ হবে। (বিনায়াঃ ৪/৫০৮)
দুধবোন
ও তার মেয়েকে বিয়ে করা হারাম
শরিয়তের
আলোকে দুধবোনকে বিয়ে করা সম্পূর্ণ হারাম ও নিষেধ। বংশীয় সম্পর্কে সহোদর বোনের মেয়েকে
বিয়ে করা যেমন হারাম, দুধবোনের
মেয়ে বিয়ে করাও তেমনি হারাম। (দেখুনঃ সুরাহ নিসা শরীফ, আয়াত
শরীফ ২৩-২৪) ও (বুখারি শরীফ,
হাদিসঃ ২৬৪৫;
বাদায়েউস সানায়েঃ ৪/২)
প্রাপ্তবয়স্ক
স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী হারাম হবে না
সাবালক
স্বামীর নিজ স্ত্রীর দুধ পান করা শরিয়তে নিষিদ্ধ ও গর্হিত কাজ। তবে এর দ্বারা বৈবাহিক
সম্পর্ক ছিন্ন হবে না। সহবাসের সময় উত্তেজনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ত্রীর স্তন মুখে নিতে
পারবে, তবে
দুধ যেন ভেতরে না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতারঃ ৩/২২৫)
একাধিক
নারী থেকে সংগৃহীত দুধ ফ্রিজে রেখে পান করানো
কোনো
সন্তান দুই বছর বয়সের মধ্যে কোনো একজন নারীর বা একাধিক নারীর দুধ পান করলে ওই সন্তান
ওই নারী বা নারীদের দুধসন্তান হিসেবে গণ্য হয়ে যায়—চাই সন্তান সরাসরি মহিলার স্তন থেকে দুধ
পান করুক বা মহিলার স্তন থেকে বের করা দুধ সন্তানকে পান করানো হোক। কিন্তু এর জন্য
দুধ অপরিবর্তিত থাকা শর্ত। (বাদায়েউস সানায়েঃ ৪/৯)
দুধব্যাংকের
শরয়ি বিধান
পশ্চিমা
দেশগুলোতে মহিলাদের দুধ সংরক্ষণ করে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে বংশের
হেফাজত অত্যন্ত জরুরি। আর এ ধরনের দুধব্যাংকের কারণে আত্মীয়তার সম্পর্কে সংমিশ্রণ ও
সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তাই এ পদ্ধতি গ্রহণ করে দুধ খাওয়ানো বৈধ নয়।
এর কোনো
প্রয়োজনীয়তাও নেই। কারো মা না থাকলে দুধের প্রয়োজনে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী কারো
থেকে গ্রহণ করতে পারে। তবে দুধব্যাংক থেকে দুধ পান করলে যার দুধ জানা সম্ভব হলে তার
সঙ্গে হুরমত সাব্যস্ত হয়ে যাবে। (কারারাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, পৃষ্ঠা
২, ৩)
পালিত
মেয়েকে বিয়ে করা বৈধ
যদি কারো
পালিত মেয়ে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর অথবা কোনো মাহরামের দুধ দুই বছর বয়সের মধ্যে পান করে
না থাকে, তাহলে
ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে জায়েজ। এ ক্ষেত্রে পর্দা করাও ফরজ। (সুরাঃ আহজাব, আয়াত
৩৩; ফাতাওয়ায়ে
দারুল উলুম দেওবন্দঃ ৭/২৪৪)
কামভাব
নিয়ে পুত্রবধূকে স্পর্শ করা ও তাকানো
শ্বশুরের
জন্য পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টিতে তাকানো মারাত্মক গুনাহ ও হারাম। যদি শ্বশুর কামভাব
নিয়ে পুত্রবধূর খালি শরীরে বা পাতলা কাপড়ের ওপর দিয়ে স্পর্শ করে, তাহলে
সঙ্গে সঙ্গে ছেলের জন্য ওই পুত্রবধূ হারাম হয়ে যাবে।
তবে শর্ত
হলো, স্পর্শের
বিষয়টি স্বীকারোক্তি বা সাক্ষীর মাধ্যমে প্রমাণিত হতে হবে অথবা ছেলে ওই কথার দাবিকারীকে
প্রবল ধারণামতে সত্য মনে করতে হবে। এ অবস্থায় উভয়ে পৃথক হয়ে যেতে হবে। (বাদায়েউস সানায়েঃ ২/২৬০, রদ্দুল মুহতার ৩/৩৩)
জামাতা-শাশুড়ি
পরস্পর কামভাব নিয়ে দেখা বা স্পর্শ করা
বাহ্যিক
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দিকে কামভাব নিয়ে তাকালে গুনাহ হলেও ‘হুরমাতে
মুসাহারাত’ সাব্যস্ত
হয় না। বরং খোলামেলা কোনো অঙ্গ কামভাবে স্পর্শ করার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয় তথা স্ত্রী
চিরতরে হারাম হয়ে যায়। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিসঃ ১০৮৩২)
অবৈধ
শয্যাসঙ্গিনীর মেয়েকেও বিয়ে করা হারাম
যার সঙ্গে
অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তার মেয়েকে বিয়ে করাও অবৈধ। কেননা ওই মেয়ের সঙ্গে এখন তার
কন্যার সম্পর্ক হয়ে গেছে। (বাদায়েউস সানায়েঃ ২/২৬০)
তালাক
গ্রহণ ছাড়া অন্যজনের সঙ্গে বিয়ে
আগের
স্বামীর তালাক প্রদান ছাড়া অন্য কোনো বিয়ে শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। ওই বিয়ে
বাতিল বলে গণ্য হবে। তেমনি আগের স্বামীর ইদ্দত চলাকালেও বিয়ে বাতিল হবে। (তাফসিরুল
জালালাইন, পৃষ্ঠা
১০৪; রদ্দুল
মুহতারঃ ৩/৫১৯)
ইহুদি-খ্রিস্টান
মেয়ে বিয়ে করা
বর্তমান
যুগের ইহুদি-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বলে যারা পরিচিত, নির্ভরযোগ্য মতানুসারে তারা ইহুদি-খ্রিস্টানদের
মূলনীতির অবিশ্বাসী। বর্তমানে বাস্তব আহলে কিতাব নেই বললেই চলে। এ ছাড়া বর্তমানে তাদের
নারীদের বিয়ে করা অনেক ফিতনার কারণ হয়ে থাকে বিধায় তাদের বিয়ে করা বৈধ নয়।
তবে এ
ধরনের নারীদের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেলে তার ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে যে সে প্রকৃত অর্থে
দাউদ আলাইহিস সালাম ও মুসা আলাইহিস সালাম বা ঈসা আলাইহিস সালাম-এর আনীত ধর্মে বিশ্বাসী
কি না। যবুর, তাওরাত বা ইঞ্জিল কিতাবে বিশ্বাসী কি না। এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে বিশ্বাস
করে কি না। যদি সত্যিই তা হয় তাহলে তাকে দাওয়াতের মাধ্যমে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করার
শর্তে ওই বিয়েকে বাতিল বলা যাবে না। আর যদি প্রমাণিত হয় যে সে নাস্তিকতায় বিশ্বাসী, তাহলে
এই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে। (রদ্দুল মুহতারঃ ৩/৪৫; ফাতাওয়া দারুল উলুমঃ ৭/২৬১)
হিন্দু-মুসলিম
বিয়ের বিধান
শরিয়তের
দৃষ্টিতে মুসলিম পুরুষ কোনো হিন্দু মহিলাকে, তেমনি মুসলিম নারী কোন হিন্দু পুরুষকে বিয়ে
করতে পারে না, যতক্ষণ
না তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ইসলাম গ্রহণ ছাড়া বিয়ে অবৈধ। এ ধরনের বিয়ে শরিয়তে বিয়ে
বলে গণ্য হবে না। মহান আল্লাহ তা’লা
বলেনঃ [وَلاَ تَنكِحُواْ الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلاَ تُنكِحُواْ الْمُشِرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُواْ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُوْلَـئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللّهُ يَدْعُوَ إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ] ‘আর তোমরা
মুশরেক নারীদেরকে বিবাহ করোনা,
যতক্ষণ না তারা ঈমান-কে গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী সম্ভ্রান্ত
মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম,
যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের
সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না,
যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন সম্ভ্রান্ত
মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল,
যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর মহান
আল্লাহ পাক নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে
নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরাহ
বাকারা শরীফ, আয়াতঃ
২২১)।
লেখকঃ
ইসলামিক লেখক ও ইহুদী নাসারা কাফের মুশরিক বিষয়ক গবেষক।
0 facebook: