![]() |
স্টাফ
রিপোর্টার।। বাংলাদেশ ভারতের এক নম্বর বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে
আব্দুল মোমেন। তিনি
বলেন, সংশোধিত
নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে দেশটিতে
যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তাতে প্রতিবেশীদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। রোববার ভারতের সরকারি
বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন
তিনি।
বিতর্কিত
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মাঝে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, পরিস্থিতি
শান্ত হবে এবং প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ এটার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।
ভারতের
ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ১১ ডিসেম্বর দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়
বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের পর এ বিক্ষোভের শুরু হয়।
নতুন
আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪
সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি
এবং জৈন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।
ভারতের
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন
বলেন, ক্যাব
(বর্তমানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) এবং এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা) ভারতের অভ্যন্তরীণ
বিষয়। ভারত সরকার আমাদের বারবার আশ্বস্ত করেছে যে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। তারা আইনি এবং
অন্যান্য কারণে এটির বাস্তবায়ন করছে।
তিনি
বলেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করে বলেছে, কোনো
অবস্থায়ই এটি বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের আস্থা আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, আমরা
ভারতের ১ নম্বর বন্ধু। সুতরাং ভারতে যদি কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তাহলে
প্রতিবেশীদের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন অর্থনৈতিক মন্দা
দেখা দিয়েছিল, তখন
এটি অনেক দেশের ওপর প্রভাব ফেলেছে। কারণ আমরা গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডে বসবাস করছি। যে কারণে
আমরা আশঙ্কা করছি যে, ভারতে
যদি কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়,
তাহলে এটি প্রতিবেশীদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা উদ্বেগজনক।
আমরা আশা করছি, পরিস্থিতি
শান্ত হবে এবং ভারত এটা থেকে মুক্ত হবে। আর এটা
তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা আমাদের কোনো বিষয় নয়। এটা তাদেরই ফয়সালা করা উচিত।
সূত্রঃ পিটিআই
0 facebook: