Monday, December 23, 2019

বরিস জনসনের ব্রেক্সিট বিল পার্লামেন্টে পাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে উত্থাপিত বিল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট পাস হওয়ায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাজ্য। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েই ব্রেক্সিট ইস্যুতে সংসদে ভোটাভুটির আয়োজন করে জয় পেয়েছে বরিস জনসন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে উইথড্রয়ল অ্যাগ্রিমেন্ট বিলটি উত্থাপনের পর ৩৫৮-২৩৪ ভোটে তা পাস হয়। এই বিলে বিরোধী দলের অনেক আইনপ্রণেতাও সমর্থন দিয়েছে।

বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ অন্যরা বিলটির বিরোধিতা করে। পার্লামেন্টে এই বিলের বিপক্ষে পড়ে ২৩৪টি ভোট। তবে এই পার্লামেন্টে বরিসের কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বিল পাস আটকে থাকেনি। নিম্নকক্ষে বিলটি পাসের পর এর খুঁটিনাটি নিয়ে আরো বিতর্ক হবে। আগামী ৭-৯ জানুয়ারি বিলটি উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে পাস হলে আইনে পরিণত হবে।

শুক্রবার উত্থাপিত ব্রেক্সিট বিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে কোনভাবেই ২০২০ সালের বেশি বাড়ানো যাবে না বলে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

বিলটি পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর এক টুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছে, ‘ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে ব্রিটেন এখন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।

এর আগে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিলটির বিপক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে তার দলেরই ছয়জন এমপি তা অমান্য করে বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি ২০২০ সালের মধ্যেই করা সম্ভব। তবে বিরোধীরা এই সময়সীমাকে অবাস্তববলে মনে করছে।

কনজারভেটিভ পার্টি এ মাসের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর সহজেই এই বিলটি পাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সরকার বলছে, এই বিলটিকে ৩১শে জানুয়ারির আগেই তারা আইনে পরিণত করবেন। -এএ


শেয়ার করুন

0 facebook: