Monday, January 13, 2020

কেবল বোরকাই নয় মতিঝিল বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলে মেয়েদের ওড়না পরিধান ও নিষিদ্ধ, নিরব অভিভাবক


হিবরুল্লাহ আল হোসেন।। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিল/বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলে মেয়েদের ওড়না পরিধান নিষিদ্ধ।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একটি আদর্শ পরিবেশ ও ভাল ফলাফল এর কারণে ঢাকার শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি স্কুলের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠে মতিঝিল এবং বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল।

সম্প্রতি গভর্নিংবডির কিছু নাস্তিক সদস্য ও কিছু চাটুকার শিক্ষকদের ষড়যন্ত্রে ঐতিহ্য হারাচ্ছে স্কুলটি। এতোদিন স্কুলে মেয়েদের বড় ফ্রকের মতো গোল ঘের দেয়া জামা, সেলোয়ার ও হিজাব/ওড়না এবং ছেলেদের শার্ট-প্যান্টের সাথে সাদা টুপি ছিল ঐতিহ্যবাহী ইউনিফর্ম।

কিন্তু ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ছেলেদের টুপি না পরলেও চলবে; আর মেয়েদের দুপাশে ফাঁড়া কামিজ ও সাদা ক্রসবেল্ট পরতে হবে। কোন মেয়ে ওড়না পরতে পারবে না। অথচ নোটিশে লেখা ছিল, ওড়না ঐচ্ছিক।

কিন্ত এখন মেয়েদেরকে ওড়না পরে স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছে না গার্ডরা। এমনকি মেয়েরা স্কুল গেট থেকে ব্যাগে করে ওড়না নিয়ে স্কুলে ঢোকার পর ক্লাশে আবার ওড়না পরলে, শারিরীক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক প্রতি ক্লাশে গিয়ে মেয়েদেরকে ওড়না পরার কারণে ধমক দিচ্ছেন।

গত ০৭/০১/২০২০ তারিখ মেয়েদেরকে ওড়না ছাড়া মাঠে নিয়ে প্যারেড করানো হয়েছে এবং শিক্ষকরা সেই ছবি ফেসবুকে আপলোডও করেছে, শুধু তাই নয়, নতুন নিয়মে আইডি কার্ড এর জন্যে ওড়না ছাড়া ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়েছে।

নামাজ ব্যতীত সাধারণ একজন ছেলের টুপি না পরলেও ঈমানে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু একটি সাবালিকা মুসলিম মেয়ে পর্দা তথা বোরকা নিকাব না করলে তার জিনা হবে সেখানে বুকের ওপর ওড়না পরতে বাঁধা দেয়া কি ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী, কুরআন বিদ্বেষী কাজ তা কল্পনাও করা যায়না। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীরা তার পুরুষ শিক্ষক এর সামনে ওড়না ছাড়া কিভাবে ক্লাশ করবে এটা একজন পাক্কা মুসলিমের জন্য জানা ফরজ নয় কি?

এটা কোন মুসলিম দেশের সভ্য সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। আমরা বনশ্রী শাখার প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে প্রতিবাদ করেছি।

তারা বলছে, এটা গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত আমাদের কিছু করার নেই। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ধ্বংস ও মুসলমান ধর্মের রীতিনীতি বিরোধী কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সকল মুসলমানদের অনুরোধ করছি, যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করার জন্য। নয়ত এভাবে চলতে থাকলে, একদিন আমরাও মুসলমানিত্ব হারাব এবং আমাদের সন্তানরা নাস্তিকের অনুসারী হয়ে বড় হবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: