![]() |
স্টাফ রিপোর্ট।। হিন্দুদের কাছে
বিদ্যা, জ্ঞান, বাণী ও
সুরের তথাকথিত দেবী
সরস্বতী। প্রতিবছর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দুদের বাড়ি
বাড়ি তথাকথিত
সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের হিন্দুত্ববাদী শ্রী শ্রী রাধাগবিন্দ ও গনেশ পাগল সেবাশ্রম ৫৫
ফুট উচ্চতার তথাকথিত সরস্বতী মূর্তী পূজার ব্যবস্থা
করেছে। বাস্তবায়নকারী উগ্রহিন্দুদের দাবি, এটিই হচ্ছে
এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ তথাকথিত প্রতিমায়
সরস্বতী। মুর্তীটি বানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী শ্রীবাস গাইন
(পাল)।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আমবাড়ী গ্রামের হিন্দুত্ববাদী শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ও গণেশ পাগল সেবাশ্রম চত্বরে নির্মিত ৫৫
ফুট উচ্চতার এই তথাকথিত সরস্বতী মূর্তী পূজা অনুষ্ঠিত
হয়।
প্রতিমা দেখার জন্য আমবাড়ী গ্রামের আশপাশের এলাকা
থেকে বিভিন্ন লোক এসে জড়ো হয়েছে পূজা-স্থলে। এছাড়াও বরিশাল, পিরোজপুর
ও বিভিন্ন জেলা উপজেলার আত্মীয়-স্বজন এসেছে এ গ্রামে পূজা দেখার জন্য।
তথাকথিত পূজাকে কেন্দ্র করে বসেছে
তিনদিন ব্যাপী গ্রামীণ মেলা। আয়োজন করা হয়েছে উগ্রহিন্দু
ধর্মীয়
যাত্রাপালা ও কবি গানের।
হিন্দুত্ববাদী পাল শ্রীবাস গাইন বলে, ১০
সহকারীকে নিয়ে এক মাস ধরে তথাকথিত এই মুর্তীটি নির্মাণ করেছি।
আমি এর আগে ৪৫ ফুট উচ্চতার মুর্তী তৈরি করেছি। ৫৫ ফুট উচ্চতার
মুর্তী এটাই প্রথম।
হিন্দুত্ববাদী পুরোহিত গোলক চন্দ্র গাইন
বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে পূজা করি। কিন্তু এতো বড় মুর্তী কোন দিন পূজা
করিনি। আমার আজকে অনেক স্থানে পূজা করার কথা ছিল, কিন্তু সব বাদ দিয়ে এখানে
পূজা করতে এসেছি। এতো বড় মুর্তীতে পূজা করতে পেরে
আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
হিন্দুত্ববাদী পূজা কমিটির সভাপতি বিশ্বপদ
মণ্ডল বলেন, আমরা এলাকার যুবকরা মিলে এই পূজার আয়োজন করেছি। গত বছর আমরা ৪৫ ফুট
উচ্চতার সরস্বতী মূর্তী পূজার আয়োজন
করেছিলাম। এ বছর ৫৫ ফুট উচ্চতার সরস্বতী মূর্তী পূজার আয়োজন
করেছি। আমাদের এই পূজায় ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। আমরা এ ধরনের পূজার আয়োজন করতে
পেরে খুবই আনন্দিত।
কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিন্দুত্ববাদী তুষার মধু বলে, আমাদের ইউনিয়নে এতো বড় তথাকথিত
সরস্বতী
পূজা হচ্ছে শুনে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। আগামীতে যাতে এই পূজা আরো বড় পরিসরে
অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য আমার দলের পক্ষ থেকে আয়োজকদের সার্বিক সহযোগিতা করবে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
হিন্দু সমাচার
0 facebook: